কয়রায় ট্রিপল মার্ডারে মুল পরিকল্পনাকারী রশিদের আদালতে স্বীকারোক্তি
মোঃ মামুন হাচান স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা জেলার কয়রা থানার বামিয়া গ্রামের হাবিবুল্লাহ গাজী, স্ত্রী বিউটি খাতুন ও মেয়ে হাবিবা খাতুন টুনি হত্যা মামলার মুল পরিকল্পনাকারী আব্দুর রশিদ গাজী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। রবিবার বিকেল ৫টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ উজ্জল কুমার দত্ত আব্দুর রশিদ গাজীসহ ৬জনকে কয়রা সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। এসময় রশিদ গাজীর দেয়া ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বিচারক দেলোয়ার হোসেন রেকর্ড করেছেন। গ্রোরকৃত সাইফুল্লাহ, শাহীন, আল-আমিন ও আব্দুল হককে ৩দিন করে ও তাসলিমা খাতুনের ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া গোলাম মোস্তফা নামে এক জনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, খুলনা জেলার কয়রা থানার বামিয়া গ্রামের মৃত. আব্দুল মাজেদ গাজীর ছেলে হাবিবুল্লাহ গাজী (৩৩), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৫) ও একমাত্র কন্যা হাবিবা খাতুন টুনি (১৩) এর লাশ ২৬ অক্টোবর সকালে বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে বসবাসকারী মৃত. আব্দুল মাজেদ গাজীর পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাবিবুর পেশায় দিনমজুর, তার স্ত্রী গৃহিনী ও একমাত্র মেয়ে হাবিবা খাতুুন টুনি ঘুগরাকাটী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় নিহত হাবিবুর রহমানের মা কোহিনুর খানম বাদী হয়ে কয়রা থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-২৪। মামলাটি প্রথমে কয়রা থানার এসআই আসাদুল ইসলাম তদন্তের দায়িত্ব পান। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তভার দেওয়া হয়।