কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী বিরামপুরের কৃষক আব্দুল মজিদ
রিপোর্টার বাংলা টিভির ডেক্স রিপোর্ট
কৃষিকাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ আর কঠোর পরিশ্রম করে নিজের ভাগ্যকে বদলে দিয়েছেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ (৬৫)।কচুর লতি বিক্রি করে হয়েছেন তিনি স্বাবলম্বী।রীতিমতো চমকে দিয়েছেন সবাইকে।
এছাড়া কচুর লতি চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই এর ফলনও হচ্ছে অনেক বেশি।
সরেজমিন দেখা যায়,বাড়ির পাশে আব্দুল মজিদ কচু ক্ষেতে লতি তুলছেন। কাঁচি দিয়ে লতি তুলে তিনি আঁটি বাঁধছেন স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্য।প্রতিটি লতা সতেজ ও মোটা।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল মজিদের ক্ষেতের কচুর লতি দেখতে অনেক সুন্দর।খেতেও বেশ সুস্বাদু। তাই লতির চাহিদা রয়েছে বেশ। আর এর ফলে ভাল দামও পাচ্ছেন তিনি।
সফল চাষী আব্দুল মজিদ জানান, বিরামপুর উপজেলা কৃষি দপ্তরের পরামর্শে ১ একর জমিতে কচু চাষ করেন। দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার লতিরাজ কচু বিক্রি করে আয় করেছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরো ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার লতি বিক্রি করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায় জানান, এই কচুর লতি অধিক ফলন,বিষমুক্ত এবং নিরাপদ যা বিদেশেও রপ্তানিযোগ্য। লতিরাজ কচু বাজারজাতকরণে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
কচু ও লতি চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, বিরামপুর কৃষি দপ্তর ও প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রকল্পের আওতায় এ সফলতা এসেছে।
পার্টনার প্রকল্প দিনাজপুর অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ বিরামপুরের প্রকল্পটি পরিদর্শন কালে উৎপাদনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি লতিরাজ কচু বিপপনে সহযোগিতা করতে বিরামপুর কৃষি কর্মকর্তাকে নিদের্শনা দেন।