শহীদ আবরার ফাহাদ ছিলেন ভারতীয় আগ্রাসনবাদী ও স্বৈরাচার উৎখাত আন্দোলনের প্রথম শহিদ: মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা
এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, শহীদ আবরার ফাহাদ আমাদের এই পরিবর্তত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উজ্জ্বল তারকা, আমাদের চেতনার ও প্রেরণার প্রতীক। আবরার ফাহাদের সেই স্ট্যাটাস ছিল ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে। ভারত গত ফ্যাসিস্ট রেজিমে বাংলাদেশের এত ক্ষতি করেছে। ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর পরে তারা ফ্যাসিস্টকে আশ্রয় দিয়েছে। এতে বুঝতে হবে ভারত বাংলাদেশকে কীভাবে গিলে খাওয়ার প্রচেষ্টায় ছিল।
তিনি আরও বলেন, শহীদ আবরারের রক্তের প্রতিটি কণা প্রতিবাদের। তাঁর এই চেতনা আমরা প্রত্যেকে ধারণ করবো চেতনা ও প্রেরণার আবরার হোক আমাদের আলোচনার বিষয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় মুক্তিযুদ্ধের ভ্যানগার্ড ও আধিপত্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ের প্রতীক শহীদ আবরার ফাহাদ এর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ‘ইউ ফেইলড টু কিল আবরার ফাহাদ’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আবরার ফাহাদ ছিলেন ভারতীয় আগ্রাসনবাদী ও এদেশীয় স্বৈরাচার উৎখাত আন্দোলনের প্রথম শহীদ। তিনি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়েই সেদিন শহীদ হন। আবরার শুধু একটি নাম নয়, তিনি ছিলেন ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ের পথে অগ্রসৈনিক।’
জেলা কালচারাল অফিসার শারমীন জাহান এর সভাপতিত্বে ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, এনসিপি নেতা নিরব রায়হান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আলম’ সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। তিনি বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন। হত্যার আগে ৫ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে কিছু ‘অন্যায্য চুক্তির’ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। পোস্টের জের ধরেই তাকে জেরা করা হয় এবং নৃশংসভাবে মারধর করা হয়। আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীকে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।