বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন

এ যেন রাস্তা না এটা মরণ ফাঁদ রাস্তাটি পাকা করনের জোর দাবী জানান মাগুড়া ইউনিয়ন বাসি।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৫০ বার পঠিত

এ যেন রাস্তা না এটা মরণ ফাঁদ রাস্তাটি পাকা করনের জোর দাবী জানান মাগুড়া ইউনিয়ন বাসি।

সরকার সালাহউদ্দীন সুমন, রংপুর বিভাগ।

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা মাগুড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ঠাটারি পাড়া হইতে অহেল মাস্টারের বাড়ি যোগাযোগের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ যেন দেখার কেউ নেই।

জানা যায়, মাগুড়া ইউনিয়নের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ গ্রাম। মজনু খোঁড়ার পাড়া, চলমান চেয়ারম্যানের বাড়ি চাঁন্দু মেম্বারের পাড়া, ঠাটারী পাড়া, এলাকায় শত,শত পরিবার বাস করে। শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে তাদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র ভরসা এই রাস্তাটি।

ঠাটারি পাড়া হইতে, অহেল মাস্টারের বাড়ি দূরত্ব প্রায় এক (১) কিলোমিটার। এই কাচা রাস্তাটির প্রধান যানবাহন হচ্ছে ভ্যান, ভ্যাটারিচালিত অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেল গাড়ী। এই রাস্তার বর্তমানে বেহাল অবস্থার কারণে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে হাজারো মানুষের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। জরুরী কোনো রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাড়া-গ্রাম বাসস্ট্যান্ড হয়ে রংপুর জেলা শহরে বা গাড়া-গ্রাম বাজার নিতে চাইলে এক (১) কিলোমিটার রাস্তা হেটে আসতে হবে যা সেই রোগীর জন্য অসম্ভব। এমনকি যথাসময়ে রোগীকে হাসপাতালে নিতে না পারলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া মাঝে মধ্যেই রাস্তায় নষ্ট হয়ে পড়ে থাকছে যানবাহন। এ কারণে সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। কৃষি নির্ভর অঞ্চলে ঠাটাড়ী পাড়া কৃষি ফসলাদি পরিবহনের একমাত্র প্রধান সড়ক হওয়ায় কৃষকদের ভোগান্তি যেন শেষ নেই। এছড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য প্রধান এই সড়কে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভ্যানচালক রুহুল আমিন বলেন, এই রাস্তায় চলাচল করতে আমাদের খুব ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তা কেউ দেখার নেই। রাস্তাটি পাকা করলে চলাচলে সকলের সমস্যাটি দূর হবে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল এবাদ মিয়া বলেন, জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ দিন ধরে এ রাস্তাটি কাঁচাই রয়ে গেছে। বর্তমানে কাদা রাস্তার কারণে ধানসহ অন্যান্য ফসল হাটবাজারে বিক্রি করতে খুবই কষ্ট করতে হয়।

রফিকুল ইসলাম (লাল) বলেন, রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। গ্রামের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারে না। সরকারের কাছে দাবি অতি দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণ করার।

পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল মিয়া বলেন, জরুরী সময় রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্যও যাতায়াতের এই সড়ক যেন মরণফাদেঁ পরিণত হয়েছে। চলাচল একেবারেই অনুপযোগী।

বাহাদুর মিয়া, সুজা বসুনিয়া, ও আনোয়ার হোসেনসহ অনেকেই বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কাদায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। আমরা বর্তমান উন্নয়ন বান্ধব সরকারের কাছে আবেদন জানাই অতি দ্রুত রাস্তাটি পাকা করে জন দুর্ভোগ লাঘব করা হোক।

৯ নং মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু জানান, রাস্তাটি নির্মাণের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান জানান, জনদূর্ভোগ নিরসনে রাস্তা নির্মাণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..