এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট’-এর ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী দিবস
এম ওসমান চৌধুরী
বিশেষ প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম)
৫৬ জন প্রতিবন্ধী সহ মোট ৪৫৭ জন শিক্ষার্থীকে ২৬ লক্ষ টাকার শিক্ষা বৃত্তির অর্থ প্রদান করল হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট।
“শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের কর্মকাণ্ড প্রশংসিত” -শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এম.পি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।
বাংলাদেশে প্রবর্তিত একমাত্র ত্বরিকা, বিশ্ব সমাদৃত ত্বরিকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার প্রবর্তক গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর ১১৮তম ১০ মাঘ উরস শরিফ উপলক্ষে ‘এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট’-এর ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাপনী দিবসে ‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) বৃত্তি তহবিল’আয়োজিত ২০২৩ পর্বের শিক্ষাবৃত্তি ও সনদ প্রদান ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফটিকছড়ির আজিমনগরস্থ মাদরাসা-এ-গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী মাঠে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মনজিলের সম্মানিত সাজ্জাদানশীন ও এস জেড এইচ এম ট্রাস্টের মাননীয় ম্যানেজিং ট্রাস্টি, আওলাদে রাসুল (দ.) হযরত শাহ্ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, হযরত শাহানশাহ্ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট দেশব্যাপী মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ ট্রাস্টটি গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে অনেক ইতিবাচক কাজ করছে যা সত্যিই প্রশংসিত।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী বলেন, আউলিয়ায়ে কেরামের দরবার চিরাচরিতভাবেই খেদমতের কেন্দ্র। একটা সময় ছিল এটা অনানুষ্ঠানিক ভাবে করা হতো। সামনে না আসলেও নেপথ্যে থেকে আউলিয়া কেরামগণ যুগে যুগে জাতি গঠনে সহযোগিতা করেছেন। এমনকি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে হুজুর গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর দরবারের পক্ষ হতেও সক্রিয়, সচেতন অংশগ্রহন ছিল, সহযোগিতা ছিল, রূহানী দোয়া তো ছিলই। আগে যে অনানুষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খেদমতের প্রবাহ চালু ছিল, সেই প্রবাহকে যুগের চাহিদার প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করেছি। পরিবর্তনশীল সময়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনে অত্র ট্রাস্টও কাজ করে চলছে।
ট্রাস্টের প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চ.বি ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চ.বি ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন ও ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফর। অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ি নাজিরহাট পৌর মেয়র এ কে জাহেদ চৌধুরী, রোসাংগিরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আল সালেহীন, সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য বখতেয়ার সাঈদ ইরান।
উপস্থিত ছিলেন বৃত্তি তহবিল পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি অধ্যক্ষ আবু মোহাম্মদ, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, সদস্য তাজুল ইসলাম, মাদরাসা-এ-গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবুল কাছেম, উম্মুল আশেকিন মুনাওয়ারা বেগম এতিমখানা ও হেফজখানার সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। মুনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ আবুল কালাম।
অনুষ্ঠানে ২০২৩ পর্বে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীসহ মোট ৪৫৭ জনকে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার বৃত্তির অর্থ প্রদান করা হয়।