সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন

এসিড নিক্ষেপকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মাহবুবা খাতুন।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৬৪ বার পঠিত
এসিড নিক্ষেপকারীর দৃষ্টান্তমূলক কঠিন শাক্তির জন্য মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীরর নিকট  আকুল আবেদন জানিয়েছেন-মাহবুবা খাতুন।

তরিকুল ইসলাম তারেক রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি ঃ

গোদাগাড়ীতে এসিড নিক্ষেপের আসামী (মুরাদ আলী) জাবিনে বের হয়ে এসে  ভিকটিম
এর বাবা কে মামলা তুলে নেওয়া ও অর্থের বিনিময়ে মামলা খেয়ে নেওয়ার হুমকি
প্রদান করছে বলে অভিযোগ করেন  ভিকটিম এর বাবা মাবুদ আলী।  গোদাগাড়ীর মডেল
থানাধীন কুমুরপুর গ্রামে আজ হতে প্রায় ১ বছর পূর্বে তথা (০২/১০/২০২০) ইং
তারিখে নিজের স্ত্রীর মুখে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য যোগ্য ঘটনাটি হলো:

ঘটনার প্রায় দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে গোদাগাড়ী উপজেলার
কুমারপুর এলাকার আফিদুলের ছেলে পরিবহন শ্রমিক মুরাদ হোসেনের সঙ্গে পালিয়ে
গিয়ে বিয়ে করেন রানীনগর গ্রামের মাবুদের কিশোরী কন্যা মাহবুবা খাতুন।

তখন বিয়ের সময় মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ছিলো। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য
জীবন সুখের হয়নি। তাই মেয়েটি সংসার করবে না বলে বাবার বাড়ি ফিরে যান।
আসামী মুরাদ আলী , বারবার তার স্ত্রীকে তার নিজ রাড়ীতে ফেরাতে না পারার
ক্ষোভে গত (০২/১০/২০২০) তারিখ শুক্রবার ভোরে মাহবুবার মুখে এসিড নিক্ষেপ
করে পালিয়ে যায়। এতে মাহবুবার মুখ, গলা, বুক ও ঘাড়ের বেশ কিছু অংশ ঝলসে
যায়।  ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মুরাদ আলী পলাতক ছিলো। এই ব্যাপারে পরে
মুরাদের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি মামলা হয়  (মামলা নং-৩২/২০২০)
মামলায় বাদি মাহবুবার মা মোসা: সেফালী বেগম।

গত ০২/১০/২০ ইং তারিখে দিনগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব সদস্যরা
তাকে (মুরাদ আলী) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করে মুরাদ আলীকে র‍্যাব-৫এর
সদর দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ গোদাগাড়ী মডেল
থানার পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে। পরে আসামী মুরাদ আলী  র্দীঘ সাত
মাস জেল হাজোতে থাকার পর গত ২৭-০৪-২১ ইং তারিখে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি
পাই। জামিনে বের হয়ে এসে সে (মুরাদ আলী) মাহবুবা খাতুন এর পিতা মাবুদ আলী
কে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে বলে তিনি প্রতিবেদক কে আরও জানান
যে, হুমকি প্রদান করার জন্য তার (মুরাদ আলী) এর বিরুদ্ধে রাজশাহী কোর্টে
একটি লিখিত আবেদন করেছি। আদালত আবেদন টি গ্রহণ করে গোদাগাড়ী মডেল থানায়
তদন্তেন জন্য দায়িত্ব দেন।  আবেদন টির তদন্ত শেষে আদালতে রিপোর্ট জমা
দেওয়া হয়েছে বলে জানান  মাবুদ আলী ।

প্রতিবেদক মো: মুরাদ আলী (পিতা মো: রফিকুল ইসলাম) কে  মোবাইল ফোন এর
মাধ্যমে অভিযোগটির বিষয়ে জিজ্ঞাসা  করলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন, মাহবুবা
আমার এখনোও বর্তমান স্ত্রী। আমি তার বাবাকে কোন প্রকার হুমকি প্রদান
করেনি।

মোসা: মাহবুবা খাতুন প্রতিবেদক কে বলেন আমি আসামি মুরাদের দৃষ্টান্ত মূলক
কঠিন শাস্তি চাই। যাতে অন্য কোন মেয়ে আমার মত এত কষ্ট ভোগ না করে। আমি
গরিব অসহায় বাবার মেয়ে অর্থের অভাবে আমার চিকিৎসা আমি ঠিক ভাবে করতে
পারছি না । আমি আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
নিকট আকুল আবেদন করছি আসামী মুরাদের যেন দৃষ্টান্ত মূলক কঠিন শাস্তি হয়।

প্রতিবেদক আরও বলেন বর্তমানে মাহবুবা খাতুনের ঝলসে যাওয়া স্থানের অবস্থা
ভালো না। তার অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তিনি টাকার অভাবে
ভালোভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..