এবার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই: ডিসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা
এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, “এবার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বোর্ড কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কোন সেটে পরীক্ষা হবে তা জানায়। আমরা তখনই তা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিই। এখন পর্যন্ত সব কেন্দ্রে সময়মতো প্রশ্নপত্র পৌঁছেছে এবং শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা দিচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় জেলার ৪৮টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ইসলামিক এডুকেশনাল ট্রাস্ট (আই.ই.টি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে, প্রশ্ন সহজ হয়েছে এবং তারা স্বাচ্ছন্দ্যে পরীক্ষা দিচ্ছে। এবার প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। সবার উচিত সঠিকভাবে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফল অর্জন করা।”
নারায়ণগঞ্জ থেকে এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মোট ৩৩ হাজার ১৮২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ২৪২ জন এবং ছাত্রী ১৬ হাজার ৯৪০ জন। তবে সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষার প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিলেন ৩৪৪ জন পরীক্ষার্থী। জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ২৬ হাজার ১৫৩ জন পরীক্ষার্থীর। এর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ২৪৩ জন। ভোকেশনালে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ হাজার ৭০৫ জন, অনুপস্থিত ২৭ জন। দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ২ হাজার ৬০০ জন, অনুপস্থিত ছিলেন ৭৪ জন।
জেলায় মোট পাঁচটি উপজেলায় ৪৮টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৬টি, বন্দর উপজেলায় ৫টি, সোনারগাঁ উপজেলায় ৯টি, রূপগঞ্জ উপজেলায় ১০টি এবং আড়াইহাজার উপজেলায় ৮টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।