স্টাফ রিপোর্টার
সম্প্রতি র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম রাজকে নিয়ে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। তিনি মাদ্রাসা পড়াশুনা করলেও রাজধানীতে এসে বখে গেছেন। অবৈধ পথে রোজগার করেছেন কোটি কোটি টাকা।
এক সময়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটানো নজরুল রাজ কয়েক বছরের ব্যবধানে হয়েছে গাড়ি-বাড়ি ও কোটি কোটি টাকার মালিক। উঠতি বয়সী তরুণীদের সিঁড়ি বানিয়ে এই কাড়ি কাড়ি টাকা কামিয়েছেন তিনি।
র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর তারা জানান, তরুণীদের দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং ছাড়াও পর্নোগ্রাফি ভিডিও বানাতেন রাজ। গত বুধবার পরীমনির বাসার অভিযান শেষে রাজের বাসায় হানা দেয় র্যাব। উদ্ধার করা হয় বিকৃত যৌনাচারের সরঞ্জাম।
রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজ-এর শোবিজ জগতে ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০১৪ সালে। এরপর নাটক ও সিনেমা প্রযোজনা শুরু করেন তিনি। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রাজ মাল্টিমিডিয়া। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের আড়ালেই তরুণীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করাতেন রাজ। আবার নারী-পুরুষ নিয়ে ফ্ল্যাটে রাত কাটিয়ে সকালে বের হয়ে যেতেন।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বনানীর অফিসে নিয়মিত নারীদের আনাগোনা ছিল। একই সঙ্গে সেখানে পরিচিত মডেল, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার লোকদেরও যাতায়াত ছিল। রাজের ওই অফিস থেকে প্রায়ই চিৎকার-চেঁচামেচি শোনা যেত। স্থানীয়রা জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশ ডেকে তাদের সতর্ক করা হলেও তা বন্ধ হয়নি।
তার বাড়ির ম্যানেজার আলী মিয়া বলেন, ‘রাজ স্যার গাড়ি নিয়ে প্রায় প্রতিদিন সকাল-বিকেল এখানে আসতেন। নারী-পুরুষ নিয়ে ফ্ল্যাটে রাত কাটিয়ে সকালে বের হয়ে যেতেন। ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা সতর্ক করলেও আমলে নিতেন না।’
একজন কর্মকর্তা জানান, টিকটক-লাইকির মতো প্ল্যাটফর্মে যারা অভিনয় করেন, তাদের মধ্য থেকে অনেক সুন্দরী তরুণীকে টার্গেট করতেন পার্টি হাউসের সঙ্গে সংশ্নিষ্টরা। মডেল বানানো ও নাটকে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দলভুক্ত করা হয়।