রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

উল্লাপাড়ায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ ২ নং বাঙ্গালা ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা সোহেল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১
  • ২২৭ বার পঠিত


অনুসন্ধানী প্রতিবেদকঃ মাত্র ৩ শতক জমি উপর বাড়ী ছাড়া আর কিছুই ছিলনা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বাঙ্গালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ২নং বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানার। তবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে নামে বেÑনামে আর নগদ টাকার কোন হিসাব নেই। র্বতমানে সব মিলে কোটি কোটি টাকা অর্থ সম্পাদ গড়ে তুলেছেন তিনি। বিগত ৫বছরে উল্লাপাড়ায় সিঙ্গার শো-রুমের পিছনে ৪ শতক জমি,৮ লক্ষ টাকা দরে মোট ৩২ লাক্ষ টাকায় কিনে যা রেজীঃ খরচ সহ ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এ-ছারাও বেঙ্গল হাসপাতালের সামনে ২০ টুয়েন্টি ট্রাওয়ারে সারে ৬ লক্ষ ও ফুলজোর প্লাজায় ১৫ লাক্ষ টাকার শেয়ার কিনেছেন এই চেয়ারম্যান।
সম্প্রতি চেয়ারম্যান তার নীজ গ্রামের আফসার মাস্টারের নিকট থেকে ১০ শতক জায়গা ১২ লাক্ষ টাকায় কিনে নতুন ঘর নির্মাণে অন্তন ৩০ লক্ষ সহ মোট ৪২ লক্ষ টাকা ব্যায় করেন। এছারাও উল্লাপাড়ার বাঙ্গালা ইউনিয়নের চেংটিয়া ব্রীজ এর প্রশ্চিম পাশের ১২বিঘা জলা তার স্ত্রীর নামে লীজ নিয়ে পুকুর খনন করেছেন,যেখানে তার অন্তত ২০ লাক্ষ টাকার ব্যায় করেন চেয়ারম্যান সোহেল রানা।
জনমনে প্রশ্ন এত অল্প সময়ে একজন মানুষ কি করে এত সম্পদের মালিক হতে পারে। সোহেল চেয়ারম্যানে এত সম্পদের উৎস কোথায়? এমন প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে;২নং বাঙ্গালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ছাত্রলীগ সহ দলের দুরদিনের ত্যাগী নেতাদের অনেকেই বলেন-সোহেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর অন্তত ২৭ জন দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী সহ ত্যাগী নেতাদের কোনঠাসা করে বিএনপি নেতাদের দলে বিভিন্ন পদে জায়গা করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি নিজে ২০১৬ সালের আগে আওয়ামীলীগের ছিলেন না। সে বিএনপি পরিবারের মানুষ,তার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পিস (শান্তি) কমিটির সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের পর তার বাবা আত্ম গোপন করেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করার পর সে দেশে আসেন।
এ ছারাও এলাকার সালিশ বানিজ্য সহ,ইউনিয়নে প্রতাপ উত্তরপাড়া,আলিয়ারপুর,ঘোঁনা ঘাইলজানী,মধুকোলা,বনমালী সহ বিভিন্ন গ্রামে বিদুৎতায়নে মিটার পতি ৬ হাজার টাকা করে অন্তত ৯৮ লাক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়,বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রদানে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সহ করোনা কালে অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে সরকারী অনুদান ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভুমিহীন ও বাড়ী আছে ঘর নেই প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায়দের ঘর বরাদ্ধ দিতেও টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে বাঙ্গালা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুর রহিম,এনসাব আলী,আকবার আলী সহ স্থানীয় সচেতন মহল দুদকের হস্থক্ষেপ দাবী করে বলেন-সেহেল চেয়ারম্যান নানাবীদ দুর্নীতি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে।
এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে ২ নং বাঙ্গালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা সেহেল এর মুঠোফোনে কল দিলে সংবাদ কর্মী পরিচয় পেয়ে মোবাইল এর লাইন কেটেদেন।
উলেখ্য গত ৯ জুলাই স্থানীয় অনলাইন ও জাতীয় প্রতিকায়”উল্লাপাড়ায় চেয়ারম্যানের অনুমতিতে-বঙ্গবন্ধু পরিষদ নামে একটি ক্লাব বিক্রির অভিযোগ,আ’লীগ ও মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ১০ জুলাই উল্লাপাড়া উপজেলা শ্রমিকলীগের নেতা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধারে উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান সোহেল রানা তড়িগড়ি করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেই ঘর মুক্তিযোদ্ধারে ফেরত দিয়ে আবারও উদ্ভোধন করেন।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়ার ২ নং বাঙ্গালা ইউনিয়নের সর্বস্তরের সচেতন মহলের দাবী দূুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান সোহেল রানার বিরুদ্ধে দুদকের হস্তক্ষেপ দাবী করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..