এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
নারায়ণগঞ্জ ফুটবল একাডেমি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে ২০ টি ফুটবল এর আবেদন করেছিল।তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রীড়াপ্রেমী ও মানবিক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা রোববার একাডেমির খুদে ফুটবলারদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে উপহার দিলেন ২০টি ফুটবল। শুধু তাই নয়, ৩০ জোড়া বুট এবং আসন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য সমস্ত খরচের দায়িত্বও নিলেন তিনি।
গত বুধবার একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান দোলন লিখিত আবেদন করেছিলেন ২০টি ফুটবলের জন্য। রোববার ডিসির কার্যালয়ে এসে তারা পেলেন প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সহায়তা। দোলন আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমার ৪০ বছরের ফুটবল জীবনে এতো ভালো জেলা প্রশাসক পাইনি। উনার প্রতি শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবো না।
খুদে ফুটবলার নিশাদুল্লাহ আতিক জানান, উপহার দেওয়ার পাশাপাশি ডিসি স্যার তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ ফুটবল একাডেমি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জেলার ফুটবল প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এ পর্যন্ত একাডেমি থেকে উঠে আসা ১৯ জন খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে এবং ১৭ জন খেলোয়াড় বাংলাদেশ লীগ ও সেকেন্ড ট্রায়ালে সাফল্যের সঙ্গে খেলছেন।
সম্প্রতি ফুটবলের অভাবে একাডেমির নিয়মিত অনুশীলন ব্যাহত হচ্ছিল। বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসক খেলোয়াড়দের উপহার দেওয়ার সময় আরও জানতে চান তাদের অন্য কোনো সমস্যা আছে কীনা। এ সময় ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জানান, দলের কিছু খেলোয়াড়ের বাবা নেই, কেউ দিনমজুর, কেউ রিকশাচালক—ফলে তাদের জুতা কেনার সামর্থ নেই। এমনকি ২৫ তারিখে যে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা, তার যাতায়াত খরচেরও ব্যবস্থা নেই। জেলা প্রশাসক সাথে সাথে ৩০ জোড়া বুট ও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সব খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দেন।ডিসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, মাদকমুক্ত জীবন গড়তে খেলাধুলার বিকল্প নেই।
জেলা ক্রীড়া অঙ্গনের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জেলা প্রশাসকের এই মানবিক ও ক্রীড়াবান্ধব পদক্ষেপ নারায়ণগঞ্জের ফুটবলে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে।