আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আসক ফাউন্ডেশন রাজশাহী জেলা স্পেশাল কমিটির উদ্দ্যেগে স্বামী স্ত্রীর মাঝে দ্বন্দ নিরোষন।
মো: তরিকুল ইসলাম তারেক রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ১নং গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে রাজশাহী জেলা স্পেশাল কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগের তদন্ত শেষে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দন্দ নিরোষনের লক্ষে এক সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সালিশি সভায় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক, রাজশাহী জেলা স্পেশাল কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ কন্জুমার রাইটস সোসাইটি রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি, জাতীয় দৈনিক সন্ধ্যাবাণী পত্রিকার স্টার্ফ রিপোর্টার মো: মানসুরুর রহমান সহ ১নং গোদাগাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান মো: রুহুল আমিন, মো: নুরুল ইসলাম তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক রাজশাহী জেলা স্পেশাল কমিটি, মো: তরিকুল ইসলাম তারেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রাজশাহী জেলা স্পেশাল কমিটি,মো: ফিরোজ কবির সদস্য, মো: ওবাইদুল ইসলাম সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মো: ইসমাইল হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক গোদাগাড়ী উপজেলা শাখা কমিটি, সাবেক চেয়ারম্যান মো: মাসিদুল গনি মাসুদ ১নং গোদাগাড়ী ইউপি, মো: খাইরুল ইসলাম মেম্বার ১ নং গোদাগাড়ী ইউপি সহ প্রায় ৬০ জন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সকলের উপস্থিতিতে ১ম পক্ষ(মোসা: মাসরুফা খাতুন) ,২য় পক্ষ (মো: রুহুল আমিন) হতে জুড়িবোর্ড গঠন করার জন্য দুই জন করে চার জন ও সংস্থার পক্ষ হতে পাঁচ জন সহ মোট ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি জুড়িবোর্ড গঠন করা হয়। সে জুড়িবোর্ডে অনেক চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হয় যে, তাদের মধ্য যেহেতু বনিবনা হচ্ছে না তাই দুই জনের মধ্যে খোলা তালাক বা আপোষ তালাক করা হওক । এবং বিবাদী যেহেতু নগদ মোহরানা দিয়ে বিবাহ করেছে তাই বাদির খোরপোষ বাবদ এক কালীন ২০,০০০/-(বিষ হাজার টাকা) প্রদান করবে।এই সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষ মেনে নেয়। উপস্থিত সকলের সামনে বাদী বিবাদীর মাঝে খোলা তালাক নামায় স্বাক্ষর হয় এবং বিবাদী (মো: রুহুল আমিন) এর নিকট হতে বিষ হাজার টাকা আদায় করে ১ম পক্ষে(মোসা: মাসরুফা খাতুন) কে খোরপোষ বাবদ তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পরিশেষে মো: মানসুরুর রহমান সাহেব বলেন আমাদের সকল কে বাংলাদেশ সরকারের সকল আইন মানতে হবে । বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী বাল্য বিবাহ মারাক্তক অপরাধ অত:এব আপনারা আপনাদের মেয়ের বিবাহ দিবেন ১৮ বছর পর কারণ বর্তমান সরকারের প্রশাসন এই বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। আপনাদের আশেপাশে বাল্যবিবাহ হলে আপনাদের উচিত তা বাধা দেওয়া আপনি বা আপনারা যদি বাঁধা দিতে ভয় পান তবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বা আমাদের সংস্থাকে অবগত করতে পারেন। বাল্য বিবাহর কারণে আজ কাল আমাদের সমাজে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটছে,সন্তান প্রসাবের সময় মায়ের অকাল মৃত্যু ঘটছে। আমরা চাই আমাদের এলাকা বাল্যবিবাহ মুক্ত এলাকায় পরিনত হওক। এটা করতে হলে আমাদের সকলের সহযোগীতা একান্ত ভাবে কাম্য।