শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

আদালতের নির্দেশে আন্দোলনে নিহত বিএনপি নেতার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৮ বার পঠিত

আদালতের নির্দেশে আন্দোলনে নিহত বিএনপি নেতার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন।
মাওলানা আব্দুল মোতালেব, ব্যুরো প্রধান বরিশাল বিভাগ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট গুলিতে নিহত বিএনপি নেতা মামুন খন্দকারের (৪০) মরদেহ ৫ মাস ২৬ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবারন (৩০ জানুয়ারি) বেলা একটার দিকে নিহতের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া খন্দকার বাড়ি পারিবারিক কবর থেকে এই মরদেহ তোলা হয়।

এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। নিহত মামুন খন্দকার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর খন্দকারের ছেলে।

তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। নিহত মামুনের পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের লোক জনের হাতে আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামুন খন্দকারের তার স্ত্রী সাথী খন্দকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালত মামুন খন্দকারের মরদেহ তোলার আদেশ দেন।
মামুন খন্দকার, আশুলিয়া বাইপাইল থানা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহত মামুনের ছোট মেয়ে তাওহিদা বলেন, বাবা ৪ আগস্ট বাসা থেকে বের হয় তারপর আর বাসায় ফেরেনি। আন্দোলনের সময় আমাদের বাসায় এসে লোকজন হুমকি দিয়ে যায়। পরে আমরা শুনতে পাই বাবা গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে আছে। বাবাকে যারা মেরেছেন তাদের আমি বিচার চাই।

মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে নিহত মামুন খন্দকারের মরদেহ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..