রাশেদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনায় বদলে গেছে রাজ্জাকের জীবন। পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা সহ পৌরসভার প্রায় সকলের কাছে সুপরিচিত মুখ রাজ্জাক। আর দশজনের মত তারও জীবনে ছিল স্কুল যাওয়ার অভিজ্ঞতা। আর্থিক সমস্যার কারনে দীর্ঘ হয়নি শিক্ষা জীবন। জীবিকার তাগিদে করোনা মহামারি শুরুর পুর্বে স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুল এবং কলেজের সামনে ঝালমুড়ি বিক্রি করতো । আয়কৃত অর্থ দিয়ে পরিবারকে সহযোগিতা করার সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করেছিল। চেষ্ঠা করার বিকল্প কোন উপায় ছিল না রাজ্জাকের হাতে, কারন বাবার অসুস্থতায় পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস এই তরুণ। ব্যবসার মাধ্যমে পরিবারে আর্থিক সমস্যা দূর হয়েছিল কিছুটা ।
করোনা মহামারি শুরুর পর রাজ্জাকের জীবন সম্পূর্নরূপে বদলে যায়। করোনার ঢেউ আর লকডাউনে রাজ্জাকের আয়ের একমাত্র উৎস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হতে চলেছে । গত বছর করোনা কালীন সময় বাবা অসুস্থ হলে ধার দেনা করে বাবার চিকিৎসা করেন ষোল বছর বয়সী এই তরুণ।
এ বিষয়ে রাজ্জাক বলেন- আমার মতো নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানের জন্য বাস্তব জীবন খুব কঠিন। নিম্ন আয়ের ঘরের সন্তান হলেও বাবার অসুস্থতায় দায়িত্ব এড়াতে পারিনা। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমার চেষ্ঠা করার উপায় নেই। কারন ব্যবসা বন্ধ। যার ফলে অভাব অনটনে কেটে যাচ্ছে দিন। তবে আশা করি আপনাদের মাধ্যমে আমার বিষয়টি মানবিক ইউএনও প্রত্যয় হাসান স্যার পর্যন্ত যাবে। যতটুকু ওনার সম্পর্কে জানি আপনারা বিষয়টি অবগত করলে অবশ্যই উনি আমাকে সাহায্য করবে। এছাড়া দেবীগঞ্জের সচ্ছল ব্যক্তিরা যদি সাহায্য করে তাহলে আমার ও আমার পরিবাবের জন্য খুবই ভালো হবে। চক্ষু লজ্জার কারনে এতদিন সাহায্যের কথা বলতে পারিনি। কিন্তু বর্তমানে আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না।
করোনা কালীন প্রনোদনা অনেকে পেলেও এই ক্ষুদ্র ঝালমুড়ি বিক্রেতা পায় নি সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন প্রনোদনা । যার কারনে নিজের জীবন ও পরিবারে নেমে এসেছে অচ্ছলতা।
কিছু টাকা ধার করে অল্প কিছু মালামাল নিয়ে কোন মতে করছে সংসার টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ । মাঝে মাঝে অসুস্থ বাবা ও আইসক্রিম বিক্রি করতে বের হয় । করোনা সংক্রমনের লাগাম টানতে চলছে লকডাউন, যা রাজ্জাক ও তার পরিবারের কাছে মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো । একটু সহযোগিতা পারে রাজ্জাককে টিকে থাকার যু্দ্ধে জয়ী করতে। সরকারি, বেসরকারি অথবা ব্যক্তিগত ভাবে যদি এই তরুণকে সাহায্য করা যায় তাহলে অন্তত সে তার ছোট ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটু সুখে জীবন অতিবাহিত করবে।
রাজ্জাকের আয়ের উপর তার অসুস্থ বাবা,মা, ছোট ভাই নির্ভরশীল ।
মানবিক দিক থেকে আসুন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। আপনাদের সহযোগিতায়ে রাজ্জাকের মতো অসংখ্য ক্ষুদ্র আয়ের মানুষ সুখের মুখ দেখবে । আপনার সহযোগিতায় একটি পরিবারের আয়ের পথ কিছুটা সহজ হবে ।
( রাজ্জাকের অসচ্ছলতার বিষয়টি বিশ কুড়ি ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সবার নজরে আসে
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..