অধ্যক্ষ কর্তৃক ষড়যন্ত্র মূলক প্রভাষক কে ভারসাম্যহীন রোগী বলা হয়েছেঃ
সোহেল রানা রাজশাহী ব্যুরো
নওগাঁ জেলাধীন নিয়ামতপুর উপজেলার ‘বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজ’ এর বহুল সমালোচিত ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনের কর্মের পদে পদে একের পর এক অনিয়ম বের হয়ে আসছে। বিভিন্ন অনিয়মের পর এবার জানা গেল যে অত্র কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীকে অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন ষড়যন্ত্র করে ও উদ্দেশ্য মূলক ভাবে গত ২৮/০৮/২০২২ ইং তারিখে লিখিত ভাবে মানসিক ভারসাম্য হীন রোগী বলেছেন। জানা যায় অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলী সৎ সাহস নিয়ে মাউশি অধিদপ্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট অভিযোগ করেছেন। যার জন্য অধ্যক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজে মৌখিক ও মানসিক ভাবে প্রভাষক এরশাদ আলীর সাথে নানা ষড়যন্ত্র, অপকৌশল,অকথ্য ভাষায় নানা ভাবে গালিগালাজ, বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আসছিলেন।
এবার জানা গেল যে, কলেজ প্যাডে লিখিত ভাবে গত ২৮/০৮/২০২২ ইং তারিখে অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন গোপনে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে ও ষড়যন্ত্র করে প্রভাষক এরশাদ আলীকে মানসিক ভারসাম্য হীন রোগী বলেছেন।
আরো জানা যায় যে গত ২৮/০৮/২০২২ ইং তারিখে অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম শুনে সাংবাদিকরা কলেজে এসেছিলেন তথ্য সংগ্রহ করতে কিন্তু অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন কে সাংবাদিকরা ঐ দিন কলেজে পান নাই। এখন প্রশ্ন হলো ঐ দিন অধ্যক্ষ কলেজে উপস্থিত ছিলেন না অথচ ঐ দিনের লেখা কলেজ প্যাডে কি করে অধ্যক্ষ এত বড় মিথ্যা বানোয়াট অপবাদ প্রভাষক এরশাদ আলীকে দিয়েছেন? এখন পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে যে অধ্যক্ষ তাঁর প্রমানিত বিভিন্ন অনিয়ম,জালিয়াতি লুকানোর জন্য ও ধারা অনুসারে শাস্তি থেকে নিজেকে বাঁচাতে গত ২৮/০৮/২০২২ ইং তারিখে অধ্যক্ষ কলেজে উপস্থিত না থেকেও ঐ দিনের তারিখ দিয়ে গোপনে উদ্দেশ্য মূলকভাবে ষড়যন্ত্র করে এরশাদ আলী কে এত বড় মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন। অধ্যক্ষের এই মিথ্যা অপবাদ শুনে প্রভাষক এরশাদ আলী ও তাঁর গর্ভধারনী মা এবং বাবা সহ পরিবারের সকল সদস্য গণ মনে অনেক বড় কষ্ট পেয়েছেন। এরশাদ আলী ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্য গণ অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন কর্তৃক এরশাদ আলীকে এমন মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে নীতিমালা অনুসারে অধ্যক্ষের যথাযথ শাস্তি দাবি করছেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট ।
আরো জানা যায় যে অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরশাদ আলী কে কলেজে উপস্থিত হওয়ায় পরেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দিচ্ছেন না কয়েক মাস থেকে। আরো জানা যায় যে, অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন প্রভাষক এরশাদ আলীর বিষয় অর্থনীতিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাচ্ছেন না এবং নানা অপকৌশলে ভর্তি কৃত ছাত্র- ছাত্রীর নাম ভর্তি রেজিস্ট্রার থেকে
লাল কালি দিয়ে কেটে বাদ দিয়েছেন যার প্রমাণ রয়েছে। অধ্যক্ষ এরশাদ আলীকে নানা অপকৌশলে কলেজের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন দীর্ঘদিন ধরে।
সম্প্রতি জানা যায় যে গত ১৫/০১/২০২৩ ইং তারিখে মাউশি অধিদপ্তরের খসড়া সিদ্ধান্ত অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘বুলিং’ প্রতিরোধে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিধান রেখে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং প্রতিরোধ- সংক্রান্ত নীতিমালা -২০২৩’- এর খসড়া প্রকাশ করছে সরকার।
সুতরাং অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন কর্তৃক প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীকে উপরে উল্লেখিত মৌখিক ও মানসিক নানা ষড়যন্ত্র,অপকৌশল ও মিথ্যা অপবাদ বুলিং এর আওতায় পড়ে। তাই নতুন নীতিমালা অনুসারে অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনের শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে গেছে।
সুতরাং মাউশি অধিদপ্তরের প্রতি অনুরোধ ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের স্বার্থে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনকে স্বল্প সময়ের মধ্যে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
সোহেল রানা রাজশাহী
ব্যুরো
ফোন নং01792118745